আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর সারপ্রাইজ দেবেন মাহি। কী সারপ্রাইজ? না এটা স্পষ্ট করেননি, করলে ‘সারপ্রাইজ’ শব্দের অর্থ বদলে যেত। তবে সবাই মাহির স্ট্যাটাসে ধরেই নিয়েছেন যে মাহি ‘গোপনে’ বিয়ে করেছেন সেটাই খোলাসা করবেন। তার মানে ১৩ তারিখে মাহি বিয়ের বিষয় প্রকাশ্যে আনবেন। এটা আদতে ভক্ত অনুসারী বা সাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কথা।

ওইদিন তিনি কী সারপ্রাইজ দেবেন সেটা সময় বলবে। তবে মাহির বিয়ে নিয়ে যে ঘোলাটে অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে করে এটা সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ঘোষণা দরকার, সেটাই আসতে চলেছে কি না ভক্তদের সেটাই প্রশ্ন। মাহি নাকি বিয়ে করেছেন। এমন গুঞ্জন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে সেসবকে পাত্তা দিচ্ছেন না মাহি। কালের কণ্ঠ’র পক্ষ থেকে মাহির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি বলেন, ‘না, বিয়ে করিনি।

গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’ মাহিয়া মাহিকে নিয়ে কেন এমন গুজব ছড়ানো হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি জানেন না, আবার তার বিয়ের পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া ও কিছু গণমাধ্যম যে ছবি ও খবর আনছে তা-ও একেবারে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। মাহির বিয়ের গুঞ্জন বা গুজবের মধ্যেই চলচ্চিত্রাঙ্গনে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। দুজন চিত্রনায়িকাকে গ্রেপ্তারের পরই এই অস্থিরতা। বিয়ে করেননি অথচ সমুদ্রসৈকতের ধারে মাহিকে একা একা ঘুরতে দেখা গেল।

মানে মাহি একা, কিন্তু ছবি তুলেছেন কে, বা তার সঙ্গে কে রয়েছে সেটা জানা যায়নি। এরই ধারাবাহিকতায় মাহি ছবিগুলো পোস্ট করে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষটা আমি। ওপরওয়ালা তুমি জাস্ট ওয়াও। আলহামদুলিল্লাহ।’ ২০১৮ সালের শেষের দিকে একবার খবর রটেছিল, মাহি-অপুর সংসারে বিচ্ছেদ ঘটেছে! কিন্তু তখন স্বামী অপু বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মনোমালিন্য হয়েছে। খুব শিগগির সব ঠিক হয়ে যাবে। এরপর প্রায় তিন বছর এক ছাদের নিচে ছিলেন দুজন।

সর্বশেষ শামীম আহমেদ রনীর ‘লাইভ’ ছবির শুটিংয়েও ২৭ মার্চ মাহির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল অপুকে। এর পর থেকেই আলাদা থাকছিলেন দুজন। সম্প্রতি দুজনই আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের খবর জানালেন। সিলেটের মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে ২০১৬ সালের ২৪ মে বিয়ে হয় মাহিয়া মাহির। অপু যুক্তরাজ্য থেকে কম্পিউটার প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করে সিলেটে নিজেদের পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন এখন। তাদের পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের এবার ইতি ঘটছে দুজনের সিদ্ধান্তেই।